বুধবার, ০৮ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
মোঃ আবুল কালাম জাকারিয়া, জামালগঞ্জ (সুনামগঞ্জ) সংবাদদাতা: সুনামগঞ্জে প্রাকৃতিক বির্পযয় অন্ধকার দেখছেন কৃষকরা সুনামগঞ্জে অকাল বন্যায় বোর ফসল হারিয়ে কৃষক হাহাকার করছে। দুর্যোগ কাটিয়ে আগামী একটি বছর কিভাবে চলবে তা নিয়ে যখন ভাবছে ঠিক তখনেই গত ১৫ এপ্রিল রাতে ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি করেছে কালবৈশাখী ঝড়। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঘন্টাব্যাপী ঝড়, বজ্রপাতসহ শিলাবৃষ্টিতে ফসলের ক্ষতি ও ঝড়ে অনেক কাচা ঘরবাড়ী ও গাছ-পালার ক্ষতি হয়েছে। বার বার প্রাকৃতিক বির্পযয়ের আঘাতে মানুষ অসহায় হয়ে পড়ছে বেঁচে থাকার অবলম্ব না পেয়ে অন্ধকার দেখছেন কৃষকরা। চলছে কাল বৈশাখির ঝড়। জানা যায়, জামালগঞ্জ উপজেলার ফেনারবাঁক ইউনিয়নের হটামারা, নাজিমনগর গ্রামের আধা-কাচা ১৫টি ঘর কালবৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে ভেঙ্গে পড়ে যায়। ভীমখালী ইউনিয়নের নওয়াগাঁও, জাল্লাবাজ, ছেলাইয়া, বিছনা, নয়াহাটি, কারেন্টের বাজারসহ প্রায় ৩৫টি ঘর ভেঙ্গে যায়। সরকারী রাস্তাসহ বস্তবাড়ীর আশপাশে প্রায় অর্ধশতাধিক গাছপালা ভেঙ্গে পড়ে। সদর ইউনিয়নের চানপুর গ্রামের রাস্তার পার্শবর্তী বিদ্যুতের খুটি ভেঙ্গে রাস্তায় পড়ে যায়। তাছাড়া সাচনা, বেহেলী ও জামালগঞ্জ উত্তর ইউনিয়নের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়। শিলাবৃষ্টিতে পাকনার হাওরের কৃষকদের বোর জমিতে ধানের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। বাঁধের উপর দিয়ে ঢুকছে পানি। সম্প্রতি ফসল তলিয়ে যাওয়া হাওরগুলোতে ধান পচে পানি দুর্গন্ধ দেখা দিলে মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা যায়। হালির হাওরপাড়ের আছানপুর ও হাওরীয়া আলীপুর গ্রামের কৃষক জামাল হোসেন ও আয়না মিয়া জানান, পানিতে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে এবং হাওরের অনেক প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠছে। মাছগুলোর মধ্যে পুটি, বালিয়া, বাইম-চিকড়া, টেংরা, গোলা,বামাশ চিংড়ি ইত্যাদি। এ সমস্ত মাছ খেয়ে খেয়ে কোন কোন এলাকায় মরছে হাঁস। দুর্গন্ধের কারণে বস্তবাড়িতেও বাস করা হচ্ছে কষ্ট। সুনামগঞ্জের মেহনতি মানুষের ধান এখন পানির নিচে, আর মাছ পানির উপর! তাও আবার খাবার যোগ্য নয়! এমতাবস্থায় সুনামগঞ্জের কৃষকেরা চারিদিকে শুধুই অন্ধকার দেখছেন। কোন কোন এলাকায় মাইকিং করে মাছ খাওয়ার নিষেধ দেয়া হয়েছে। মাছের সাথে নদীর অন্য প্রাণিরাও মরে ভেসে উঠছে।